মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৭

মেয়ারা যখন কোন সম্পর্কে জড়িয়ে
পড়ে তখন সে শুধু মাত্র নিজেকে এবং
তার ভালোবাসার মানুষটিকে নিয়ে
চিন্তা করে না। একটা কিশোরী
মেয়েও সম্পর্কে জড়ালে 'সে একদিন
স্ত্রী হবে' এই চিন্তা থেকেও বেশি
চিন্তা করে ' সে একদিন মা হবে' ।
তাদের একটি সংসার হবে। ছোট
জানালা হবে। জানালার পর্দা কেমন
হবে ভাবে সে। বাবুকে স্কুলে নিয়ে
যাবে। বাবু সারা ঘর ঘুরে বেড়াচ্ছে;
বাবা অনেক রাত করে ফেরার সময়
তার জন্য একটা কিছু নিয়ে এসেছে;
সে রাগ করে থাকলে বাবুর বাবা
পাতার বাঁশি বাজিয়ে রাগ
ভাঙ্গাবে- এরকম একটা দৃশ্য কল্পনা
করাই হল মেয়েদের প্রেম।
ছেলেরা ভাবে তার রাজকন্যা নিয়ে।
তাদের রোমান্টিকিজম কল্পনায় সে
এবং তার ভালোবাসার মানুষটি ছাড়া
আর কেউ থাকে না। অন্য কিছু থাকে
না। মেয়েরা ভাবে রাজপ্রাসাদ
নিয়ে। তাদের রোম্যানটিজম কল্পনায়
সংসারের বাজার, বাবুর খেলনা, চা
বানানো , খাবার ঘরটা কীভাবে
সাজাবে, বৃষ্টি রাতে খিচুড়ি রাঁধা
সব কিছু জায়গা করে নেয়। মেয়েরা
মোগল সাম্রাজ্যের রাজপ্রাসাদ চায়
না। নালা পাড়ার নোংরা বাড়ীটাও
তাদের ছোঁয়ায় এক সময় রাজপ্রাসাদ
হয়ে যায়।
কোন কারণে সম্পর্কটি ভেঙ্গে গেলে
ছেলেরা মেয়েটিকে হারায়
আর মেয়েরা কল্পনায় তিলে তিলে
গড়ে তোলা জ্বলজ্যান্ত একটা সংসার
হারানোর জ্বালা ভুলে যাওয়া এত
সহজ
ভালবাসা-ই যদি আমার অপরাধ হয়ে
থাকে,
তাহলে তোমার কোনো
দোষ নাই।
তোমাকে চিনতে ভুল করেছি তোমার
চোখ দুটোর কারণে
যখন তাকিয়েছি এক মুহূর্তের জন্যও মনে
হয় নি_
এই নিষ্পাপ চোখ দুটো - বেইমানী করতে
জানে
প্রিয় রঙ বলে আসলে কিছু নেই। বিয়ের
কনের কাছে লাল শাড়ি ভাল লাগলেও
লাল রক্ত ভাল লাগবে না। লাল শাড়ি
স্বপ্নের প্রতীক হলেও লাল রক্ত ভয়ের
প্রতীক।
হয়ত কোন দোকানে গিয়ে হলুদ টিশার্ট
পছন্দ করলেন কিন্তু গাড়ি কেনার সময় এই
রঙটাই অসহ্য লাগবে। প্রিয় রঙের
ঝামেলা থেকে বাঁচতে অনেকেই কালো
রঙ বেছে নেয়।
তবে তার ঘরের দেয়ালে এই রঙ লাগাতে
বললে অবশ্যই সে নিষেধ করবে। প্রিয় রঙ
বলে আসলেই কিছু নেই।
ব্যাপারটি এক ধরনের ক্ষেত্র বিশেষ।
ভিন্ন ভিন্ন বস্তু আপনার ভিন্ন ভিন্ন রঙে
ভাল লাগছে।
সময় বলেও আসলে কিছু নেই। সূর্য উঠেও
না। নামেও না। আমরাই চারদিকে ঘুরি।
সময় চলতেই থাকবে...
অন্য ভাবে চিন্তা করলে পৃথিবী সৃষ্টির
আগেও সময় ছিল।
একে ঘড়ি দিয়ে হিসেব করে ফায়দা নেই।
ঘড়ি ইতিহাস কিছুই এটাকে শেষ পর্যন্ত
ধরে রাখতে পারবে না। ... সময় চলতে
থাকবে অমীমাংসিত কোন রহস্যে। পৃথিবী
ধ্বংসের পরেও সময় চলবে। কেয়ামতের
পরেও চলবে।
বিষয়টা সহজ মনে করলে সহজ। জটিল মনে
করলে জটিল।
প্রিয় মানুষ বলেও আসলে কিছু নেই।
ব্যাপারটা ক্ষেত্র বিশেষ। আজ যে
মানুষটিকে খুব কাছের বলে মনে হচ্ছে ;
মানুষটির সাথে পরিচয় না হলে এমনটা হত
না।
আপনার জন্ম লেবানন কিংবা জাপানে
হলে আপনি অবশ্যই সেই দেশের কোন
মানুষকে ভালবাসতেন।
.....অঞ্জন শোনা হত না। দরজা বন্ধ করে
শুনতেন জাপানী কোন চিউ মিউ সঙ্গীত।
চিউ মিউ শোনে মরে যেতে ইচ্ছে করত
উসাই মং এর জন্য।
বড় বড় না তার ছোট ছোট চোখ গুলোকেই
মনে হত পৃথিবীর সব থেকে নিখুঁত শিল্প।
তার জন্মই হয়েছে আপনার জন্য , দুজন
মিলে একাকার , তাকে ছাড়া চলবে না...
এই গুলা বাজে কথা।
পেট ওয়ালা ট্রাক ড্রাইভার সেলিম পাছা
চুলকাতে চুলকাতে পানের ফিক ফেলল। এই
দৃশ্য দেখে কোন সুন্দরী ' ইয়াক ' করে
উঠল।
ঠিক এই মেয়েটির জন্মই যদি সেলিম
ড্রাইভারের ঘরে হত তাহলে রাস্তায়
দাড়িয়ে বিশ্রী ভাবে পাছা চুলকানো
মানুষটিকেই তার মনে হত পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ
বাবা।
প্রিয় মানুষ ব্যাপারটা আপেক্ষিক।
ক্ষেত্র বিশেষ।
জন্মের পর পৃথিবীর কেউই প্রিয় এবং
অপ্রিয় থাকে না। আমরাই কোন কাউকে
প্রিয় এবং কাউকে অপ্রিয় বানিয়ে
ফেলি।
গন্তব্য জিনিষ টা অনেক কঠিন কঠিনের
থেকেও অনেক বেশি কঠিন।
আগে তোমার গন্তব্য ঠিক কর তারপর তার
পিছু পিছু হাঁটতে থাক। গন্ত্যবে পৌছানো
তোমার জন্য মস্তবড় কঠিন হবে কঠিনের
থেকেও অনেক বেশি কঠিন হবে তোমার
জন্য, তোমার শরির থেকে রক্ত ঝরতে
থাকবে তবুও তোমাকে দৌরাতে হবে,
শরির থেকে রক্ত দূষিত হবে রক্ত পঁচে
যাবে দুর্গন্ধ বের হবে নাকে হাত না
দিয়ে তোমাকে দৌড়াতে হবে, গন্তবে
পৌছাতে হয়তো তোমার শরিরের মাংশ
পঁচে যাবে খসে খসে পড়তে থাকবে তবুও
থেমে যেও না আফসোস করো না
দৌড়াতে হবে গন্তব্যে তোমাকে
পৌছাতেই হবে, তোমার হাত শরির থেকে
আলাদা হয়ে যাবে, তোমার শরিরের
শরিরের মাংস আর তোমার কাছে থাকতে
চাইবে না, তোমার রক্ত আর তোমার
শরিরে থাকতে চাইবে না,। তবুও তোমাকে
শত বাধা বিপত্তি কে হার মানাতেই হবে।
ভালাবাসাহীন বেঁচে থেকে কি আর হবে,
কিন্তু গন্তব্যে পৌছায়ে মরতে পারেলই
তো সেই মরাতে আনন্দ আছে। সৃষ্টি
কর্তাকে সঙ্গে রেখ,।।
তোমরা যারা ওই আকাশকে
ভালোবাসো প্লিজ একবার সূর্য কে
প্রনাম করে নিও।
সূর্য টা ও একদিন চাঁদ টাকে অনেক
বেশি ভালোবেসেছিল। কিন্তু আজ সেই
চাঁদ টা অনেক গুলো তারার ভালোবাসা
নিয়ে বেঁচে আছে আর সূর্য টা আজ
নিজের বুকে আগুন জ্বালিয়ে দিচ্ছে
আর মাঝে মাঝে মেঘ ডাকিয়ে নিরব
কেঁদে যাচ্ছে।

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৭

পথ্যের উপর আমার বেঁচে থাকা-
সে কি তা জানে ?
সূর্য উঠলে এখন আর আমার ভোর হয় না-
সে কি তা জানে ?
এখন তাকে আর আমার মনে পড়ে না-
সে কি তা জানে ?